নাইম আইটি
https://www.nayemit.com/2021/12/earn-money-with-bkash.html
প্রতিদিন গেম খেলে টাকা আয় বিকাশে পেমেন্ট ২০২৪
আপনারা অনেকেই শুনে অবাক হচ্ছেন গেমস খেলে টাকা আয় করা যায়। আজকে আমরা বাংলাদেশে কোন গেম খেলে টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করব।আপনারা ইউটিউবে অনলাইনে গেম খেলে টাকা সংক্রান্ত অনেক ভিডিও দেখতে পাবেন।
তবে দুঃখজনক হলো যে সেখানে অনেকে কমেন্ট করে থাকেন এক টাকাও আয় করতে পারেননি। আসলে অনেকে ভিডিওতে ভিউ বাড়ানোর জন্য এসব অসত্য তথ্য দিয়ে থাকে।আমরা আজকে সঠিক তথ্য প্রদানের মাধ্যমে কিভাবে মোবাইলে গেম খেলে টাকা আয় করার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
১. ডায়মন্ড টপ আপ বিজনেস
ডায়মন্ড টপ আপ বিজনেস মূলত ফ্রী ফায়ার ও পাবজি গেমস এর জন্য প্রযোজ্য। আপনি কিভাবে অল্প টাকায় ডলার কিনে 10 থেকে 12 টাকা লাভে সেল করবেন এই বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা দেওয়া হবে।আপনি হয়তো গুগল বা ইউটিউবে সার্চ করে এই সম্পর্কে জানার চেষ্টা করবেন কিন্তু কোনো সঠিক ধারণা কেউ দিতে পারেনি। আমাদের এই লেখাটি পড়ার পর আপনাকে আর এসব বিষয় নিয়ে সার্চ করতে হবে না।ফলে মনোযোগ সহকারে লেখাটি পড়ুন এবং বিষয়গুলো অনুসরণের চেষ্টা করুন।
টপ-আপ বিজনেসের জন্য প্রথমে আপনাকে একটি ইমেইল কিনতে হবে। গুগল গিফট কার্ড এর মাধ্যমে ইমেইলে ডলার লোড করতে হয় যার মাধ্যমে আপনি এই বিজনেস করতে পারবেন। তবে আপনি বাংলাদেশ ইমেইল দিয়ে এটি করতে পারবেন না। ইমেইল আইডিটি অবশ্যই ইউএসএ এর হতে হবে আপনি ইমেইল কোথা থেকে কিনবেন সে সম্পর্কে পরে বলছি। আগে কাজের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জেনে নেই যদি সহজ মনে হয় আপনি করতে পারেন।
১. প্রথমে আপনাকে 100 বা 200 ডলারের একটি ইমেইল কিনতে হবে। এই ইমেইলের মাধ্যমে গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনি টপ আপ করতে পারবেন।
২. ইমেইল কেনার পর আপনাকে পাসওয়ার্ড ইমেইল আইডি দেওয়া হবে। তাৎক্ষণিক লগিন করে ইমেইল এর পাসওয়ার্ড চেঞ্জ করে ফেলবেন। ইউএসএ'র কোন ভিপিএন কানেক্ট করে লগইন করবেন। এজন্য Super VPN ব্যবহার করতে পারেন।
৩. এখন যে ইমেইলটি আপনি কিনেছেন সেটি দিয়ে গুগল প্লে স্টোরে লগইন করবেন। গুগল প্লে স্টোরের Payments Method অপশনে গেলে আপনার কত ডলার ব্যালেন্স আছে তা দেখতে পারবেন।
৪. এবার আপনার মোবাইলের ফ্রী ফায়ার গেমস এ যাবেন। এখন সরাসরি ডায়মন্ডে চলে যাবেন। এখন এখানে বিভিন্ন ডায়মন্ডের প্যাকেজ এবং এগুলোর মূল্য দেখতে পাবেন। আপনার ইচ্ছামতো যেকোনো একটি প্যাকেজ সিলেক্ট করবেন।এখন আপনি পেমেন্ট অপশন দেখতে পাবেন। ঠিক যে ইমেইল দিয়ে প্লে স্টোরে লগইন করা সেই ইমেইল আইডি এবং আপনার ব্যালেন্স শো করবে। কনফার্ম পেমেন্ট করার মাধ্যমে আপনি ডায়মন্ড কিনতে পারবেন।
এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে এটির মাধ্যমে আমি কিভাবে আয় করব? আপনার যে সকল বন্ধুরা ফ্রী ফায়ার গেমস খেলে তাদেরকে ডায়মন্ড কিনে দেওয়ার মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারে। তাছাড়া ফেসবুক পেজ খুলে আপনি টপ আপ এর বিজনেস করতে পারেন। আপনি যত টাকায় ডলার কিনবেন তার থেকে 10 বা 15 টাকা বেশি দিয়ে সেল করতে পারবেন।
এখন কথা হচ্ছে, গুগল প্লে স্টোর একাউন্ট খোলার নিয়ম কী?
আপনি যে ইমেইল আইডি দিয়ে জিমেইল অ্যাপটিতে লগইন থাকবেন। গুগল প্লে স্টোরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই অ্যাপসটি লগইন অবস্থায় থাকবে। এক্ষেত্রে একাধিক আইডি দিয়ে লগইন থাকলে আপনার ইচ্ছামতো যেকোনো একটি ই-মেইল ব্যবহার করতে পারেন।
এবার আসি ইউএসএর ইমেইল কোথা থেকে কিনবেন। বাংলাদেশের যারা প্লে স্টোরে টপ-আপ বিজনেস করে থাকে তাদের বেশিরভাগ তারা দারাজ থেকে কিনে। তাছাড়া আপনি ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ বা পেজ পাবেন যারা এসব কাজ করে থাকে। তবে কারো থেকে কেনার আগে তাদের রিভিউ দেখে নিবেন। যেহেতু ডলারের দাম উঠানামা করে কাজেই চেষ্টা করবেন 50 বা 100 ডলারের বেশি না কেনার জন্য। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।
২. ইউটিউবে গেমিং চ্যানেল
বর্তমান ইউটিউবে অসংখ্য গেমিং চ্যানেল রয়েছে। তাছাড়া আপনারা যদি খেয়াল করেন এই সকল চ্যানেল এ প্রচুর ভিউ হয়। ফলে বুঝতেই পারছেন গেমিং চ্যানেল করে আপনি মাসে হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন।
আপনি গেম খেলার সময় সেটি ইউটিউবে লাইভ স্ট্রিমিং করার মাধ্যমে কাজটি করতে পারবেন। সাধারণত ইউটিউবে কোন ভিডিও আপলোড করার ক্ষেত্রে সেটি এডিটিং করতে হয়। এতে প্রচুর সময় ও শ্রম লাগে।কিন্তু ইউটিউব গেমিং চ্যানেল করার ক্ষেত্রে ঝামেলাটি একেবারেই নেই।
আপনারা প্রশ্ন করতে পারেন ইউটিউবে গেমিং চ্যানেল একই গুগল এডসেন্স পাওয়া যায়? ইউটিউব গেমিং চ্যানেল গুগোল অ্যাডসেন্সে অ্যাপ্রভাল পাবেন। এক্ষেত্রে আপনাকে ইউটিউবে অন্যান্য চ্যানেলের মতোই সাধারণ একটি শর্ত মানতে হবে। সেটি হল 4000 ঘন্টা ওয়াচ টাইম এবং 1000 সাবস্ক্রাইবার লাগবে। তবে আরও মজার বিষয় হলো আপনি ওয়াচ টাইম এবং সাবস্ক্রাইবার কিনে নিতে পারবেন। সাবস্ক্রাইবার এবং ওয়াচ টাইম কিনতে চাইলে আমাদের ফেসবুক পেইজ এ যোগাযোগ করতে পারেন। তাছাড়া গেমিং চ্যানেল এর মাধ্যমে আপনি ইউটিউব স্পনসর্শিপও পাবেন।
আপনার কাছে যদি কম্পিউটার বা ল্যাপটপ না থাকে আপনি মোবাইলের মাধ্যমে টাকা আয় করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি স্ক্রিন রেকর্ডিং অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য গুগল প্লে স্টোর থেকে AZ Screen Recorder বা Mobizen Screen Recorder অ্যাপসটি নামিয়ে নিতে হবে। আপনি যখন গেম খেলবেন তখন এটির মাধ্যমে স্ক্রিন রেকর্ডিং করে সেটি পরবর্তীতে ইউটিউব গেমিং চ্যানেল আপলোড করবেন।
অনেকের সন্দেহ করে থাকেন গেমিং চ্যানেল আসলে লাভজনক কিনা? দেখুন অন্যান্য চ্যানেল তৈরি করতে হলে আপনাকে কনটেন্ট নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে, কনটেন্ট লিখতে হবে, এরপর ভিডিও করতে হবে তারপর এডিটিং করতে হবে ইত্যাদি অনেক ঝামেলার রয়েছে। কিন্তু গেমিং চ্যানেলে এই ধরনের কোন ঝামেলা নেই। আপনি যদি একজন গেম লাভার হয়ে থাকেন এটি আপনার জন্য একটু সুবর্ণ সুযোগ।
তবে মাথায় রাখবেন আপনি যে গেমটি খেলবেন সেটিতে আপনাকে দক্ষ হতে হবে। তাছাড়া আপনি গেম খেলার সময় যদি ভয়েসসহ স্ক্রীন রেকর্ড করেন এবং সেটি পরবর্তীতে ইউটিউবে আপলোড দেন তাহলে বেশি ভিউ পাবেন। কাজ শুরু করার পূর্বে আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল থাকা আবশ্যক। এরপর একে একে ভিডিও পাবলিশ করতে থাকবেন এবং চ্যানেলের এসইও করবেন। এসইও হলো সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন যার মাধ্যমে আপনার ইউটিউব ভিডিও উপরের দিকে র্যাংক পেয়ে থাকে। অন্য একটি পোস্টে আমরা ইউটিউব ভিডিও এসইও নিয়ে আলোচনা করব।
৩. খেলাঘর গেম থেকে টাকা আয়
যারা পাচ্ছে কিংবা ফ্রী ফায়ার গেমস খেলেন তারা খুব সহজেই খেলাঘর থেকে টাকা আয় করতে পারবেন।তবে এই অ্যাপসটি গুগল প্লে স্টোরে পাবেন না। এর জন্য গুগল ক্রোমে আপনাকে খেলাঘর লিখে সার্চ করতে হবে অথবা এই লিংকে ক্লিক করে অ্যাপ্লিকেশনটি ডাউনলোড করতে হবে। এরপর আপনি অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিবেন। এরপর আপনি নিচের ছবির মত সাইন-ইন অপশন দেখতে পাবেন। যদি আপনার আগে একাউন্ট খোলা না থাকে তবে সাইন আপ এ ক্লিক করে আগে অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। চলুন পুরো প্রক্রিয়াটি নিচে ধাপে ধাপে দেখি।
১. প্রথমে খেলাঘর অ্যাপসে আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। একাউন্ট খোলার জন্য আপনাকে First Name, Last Name, User Name, Email Address, Mobile Number ও Password দিতে হবে।এবার Register বাটনে ক্লিক করলে আপনার একাউন্ট খোলা হয়ে যাবে।
২. এখন আপনি ইমেইল ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করবেন। লগিন করার পর নিচের ইন্টারফেস দেখতে পাবেন। এখানে মূলত আপনাকে টাকা দিয়ে বিভিন্ন ম্যাচ খেলতে হবে।
৩. এখানে আপনি 10 টাকা বা 15 টাকা দিয়ে ম্যাচ খেলতে পারে। যদি 10 টাকার কোন ম্যাচ দিতেন তবে আপনি পাবেন আসি টাকা এবং 15 টাকার কোন ম্যাচ জিতলে দেড়শ টাকা পাবেন।
৪. এখানে সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয়টি হলো একটি কিল করলে আপনি 5 টাকা পাবেন এবং দুইটি করলে আপনি 10 টাকা পাবেন। ফলে বুঝতেই পারছেন আপনি কিল করার মাধ্যমে আপনার এন্ট্রি ফি বা ম্যাচ তুলে নিতে পারবেন।
৫. এখানে প্রতিদিন আপনি চার থেকে পাঁচটি ম্যাচ পাবেন। যার মাধ্যমে আপনি অনেক টাকা আয় করতে পারবেন।তাছাড়া এখানে মাত্র 100 টাকা হলে আপনি উইথড্রো করতে পারবেন। এখান থেকে টাকা উঠানোর নিয়ম খুবই সহজ।বিকাশ বা রকেট এর মাধ্যমে আপনি টাকা তুলতে পারবেন। যাদের বিকাশ বা রকেট অ্যাকাউন্ট নেই তারা মোবাইল রিচার্জের মাধ্যমে টাকা নিতে পারবেন।
৬. খেলাঘর অ্যাপসের মোট ডাউনলোড সংখ্যা চার লাখের কাছাকাছি। ফলে বুঝতেই পারছেন কত লক্ষ মানুষ প্রতিদিন এখান থেকে টাকা আয় করছে। তাহলে আপনি বসে থাকবেন কেন? আপনি যদি ফ্রী ফায়ার পাবজি খেলে থাকেন তাহলে আজই টাকায় করা শুরু করে দিন।
0 জন কমেন্ট করেছেন
Please read our Comment Policy before commenting.