নাইম আইটি
https://www.nayemit.com/2021/12/on-page-seo.html
অন পেজ এসইও ২০২৪ কমপ্লিট গাইডলাইন
অন পেজ এসইও ২০২৪ সংক্রান্ত কমপ্লিট গাইডলাইন এই পোস্টে আলোচনা করা হবে। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) এর একটি বিশাল অংশ নির্ভর করে অন পেজ এসইও এর উপর।
অনেক এসইও এক্সপার্টগণ বলে থাকেন কোন ওয়েবসাইট গুগলে র্যাংক করবে কিনা তার ৭০% নির্ভর করে অন পেজ এসইও এর উপর। আজকের আলোচনার শুরুতে on-page seo এর চেকলিস্ট তুলে ধরা হলো। ধাপে ধাপে অন পেজ এসইও নিয়ে আমরা পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জন করবো।
- কনটেন্ট অপটিমাইজ
- ইউজার এক্সপেরিয়েন্স
- টাইটেল ও ইউআরএল অপ্টিমাইজ
- এবং গুগলের আপডেট অনুযায়ী নতুন SEO কৌশল
অন পেজ এসইও কি?
অন পেজ এসইও এমন একটি প্রসেস যার মাধ্যমে কোন ওয়েবসাইট এর যে কোন কনটেন্ট অপটিমাইজ করে অধিকতর ট্রাফিক বা ভিসিটর পাওয়া যায়। একদম সহজ ভঙ্গিতে বললে আপনার ওয়েবসাইটের ভিতর এসইও সংক্রান্ত যে কাজ করেন তাই অন পেজ এসইও। যারা নতুন ব্লগিং শুরু করে তাদের কাছে অপ্রাসঙ্গিক কিন্তু আকর্ষণীয় টাইটেল লেখাই অন পেজ এসইও নামে পরিচিতি পেয়ে থাকে। মনে রাখবেন আপনার টাইটেল অন পেজ এসইও এর সবথেকে অর্থবহ একটি অংশ কিন্তু টাইটেলকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজ করতে পারাটা প্রমাণ করবে আপনার কনটেন্টের অন পেজ এসইও করতে পেরেছেন কিনা। টাইটেল ছাড়াও মেটা ডেসক্রিপশন, পারমালিংক, কনটেন্টের ইমেইজ ইত্যাদি বহু বিষয় অন পেজ এসইও এর সাথে জড়িত।
তবে আমরা একটা সাইটের একদম শুরু থেকে অন পেজ এসইও নিয়ে আলোচনা করবো। আপনার ডোমেইন নেম সিলেকশন থেকে শুরু করে ওয়েবসাইটে ব্যবহৃত থিম বা টেমপ্লেটও অন পেইজ এসইও এর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে। সাধারণত থিমে কিছু অন পেজ এসইও সংক্রান্ত কাজ করে নিতে হয় তবে বেশির ভাগ কাজ করাই থাকে। আর on-page seo ঠিকমত করতে পারলে আপনার সাইট গুগলে দ্রুতই র্যাংক করবে। এমনকি গুগল এডসেন্স থেকে ভালো ইনকাম করতে on-page seo (ইউজার এক্সপেরিয়েন্স বাড়ানো, বাউন্স রেট কমানো, সিটিআর বৃদ্ধি করা ইত্যাদি) কার্যকরি ভূমিকা রাখে। ফলে আপনি বুঝতেই পারছেন একটি ওয়েবসাইটের জন্য অন পেজ এসইও এর গুরুত্ব কত বেশি।
কিভাবে ও কেন অন পেজ এসইও করে?
আপনার নিজের স্বার্থেই ওয়েবসাইটের অন পেজ এসইও করতে হবে। আপনি কোন এফিলিয়েট প্রোগ্রাম বা গুগল এডসেন্স নিয়ে কাজ করেন না কেন আপনার সাইটে ভিজিটর আনা ও অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য on-page seo করতে হবে। এই কাজের শুরুতেই আপনি সফল হয়ে যাবেন এমন কোন গ্যারান্টি কেউই দিতে পারবে না। এমনকি নতুন ওয়েবসাইটের কনটেন্ট গুগল ইনডেক্স করতে ২-৭ দিন পর্যন্ত সময় নিতে পারে। আর গুগল আপনার কনটেন্টটি ইনডেক্স না করলে সেটি সার্চ রেজাল্টে শো করবে না ফলে আপনি ট্রাফিক হারাবেন। বিষয়টি খেয়াল করুন, গুগল তার ক্রাউলিং সিস্টেমের মাধ্যমে প্রতিদিন কোটি কোটি ওয়েবসাইট মেইনটেইন করছে। আমরা একটা কনটেন্ট পড়ে বুঝে ফেলি সেটি কি নিয়ে আলোচনা করা আছে কিন্তু গুগলের ক্রাউলার বা বট একটি মেশিন যা আমাদের ভাষা বুঝে না। গুগল বট যেন বুঝতে পারে আপনার কনটেন্ট কোন টপিকের উপর লেখা, অন্য ওয়েবসাইটের তুলনায় উক্ত টপিকের উপর আপনি ভালো কনটেন্ট লিখেছেন - এইজন্য আমাদের দরকার পরে অন পেজ এসইও করার।
on-page seo করার উপায় সম্পর্কে এখন কমপ্লিট গাইডলাইন দেওয়া হবে। এটি ফলো করলে আপনার ওয়েবসাইটকে গুগলে র্যাংক করানো সহজ হবে।
পোস্টের শুরুতে ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার
অন পেজ এসইও এর কথা বললে সবার আগে আমাদের মাথায় যে জিনিসটা আসে তা হলো ফোকাস কিওয়ার্ড সঠিকভাবে ব্যবহার করা। ফোকাস কিওয়ার্ডকে অনেকে টার্গেটেড কিওয়ার্ডও বলে থাকে। চলুন প্রথমে ফোকাস কিওয়ার্ড সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক। আমাদের এই পোস্টটি হলো অন পেজ এসইও সম্পর্কে করা ফলে এখানে এটিই আমাদের ফোকাস কিওয়ার্ড।
আপনি যদি 'অফ পেজ এসইও কিভাবে করে' এই টাইটেলের উপর আর্টিকেল লিখেন তবে 'অফ পেজ এসইও' হবে আপনার ফোকাস কিওয়ার্ড। আমরা ঠিক যে কিওয়ার্ডকে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখবো সেই কিওয়ার্ডটি আমাদের কনটেন্টের প্রথম ১০০ বা ১৫০ শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবো।
এতে করে সার্চ ইঞ্জিন খুব সহজে আপনার আর্টিকেল কোন টপিকে উপর লেখা হয়েছে তা বুঝতে পারবে। গুগলে প্রথম পেজে র্যাংক করে এমন সব ওয়েবসাইটের কনটেন্ট বিশ্লেষণ করে দেখা যায় তারা সবাই focus keyword আর্টিকেলের শুরুতে ব্যবহার করে থাকে। ফলে আশা করি এটির গুরুতে বুঝতে পেরেছেন।
পোস্টের টাইটেল অপ্টিমাইজ করা
কনটেন্টের টাইটেল অন পেজ এসইও এর ক্ষেত্রে খুবই জোরালো ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে আমরা অনেকে হয়তো টাইটেল অপ্টিমাইজ করা জানি না। আমরা আমাদের ইচ্ছামত একটি পোস্ট টাইটেল দিয়ে থাকি। তবে টাইটেল অপ্টিমাইজ করার জন্য নিম্নের তিনটি বিষয় আপনার মাথায় থাকতে হবে।
- টাইটেল 600 pixel এর চেয়ে বড় হতে পারবে না। কারণ গুগল ৬০০ পিক্সেলের বড় টাইটেল সার্চ রেজাল্টে শো করে না। তবে 450-460 pixel হলে সবচেয়ে ভালো হয়। আর অক্ষরে হিসাব করতে চাইলে ৫৮-৬৪ অক্ষরের মধ্যে টাইটেল রাখতে হবে।
- টাইটেলে একবারের বেশি ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করা যাবে না। তবে টার্গেটেড কিওয়ার্ড অবশ্যই টাইটেলে একবার ব্যবহার করতে হবে।
- পোস্টের টাইটেলের সাথে কনটেন্টের মিল থাকতে হবে। শুধুমাত্র ক্লিক পাওয়ার আশায় অপ্রাসঙ্গিক টাইটেল দেওয়া যাবে না।
- পোস্টের টাইটেলের সাথে ওয়েবসাইট এর নাম জুড়ে দিতে হবে। এটি ব্রান্ডের প্রসারে খুব কার্যকরী। এই কাজটি ওয়েবসাইটের থিমে কোডিংয়ের মাধ্যমে করতে হয়।
- পোস্ট টাইটেল অবশ্যই H1 ট্যাগে হতে হবে।
- পোস্ট টাইটেলে সাল যুক্ত করে দিলে তা গুগলে ভালো র্যাংক করে। যেমনঃ 'অন পেজ এসইও টিউটোরিয়াল ২০২৪' এই টাইটেলের সাথে চলমান সাল যুক্ত করে দেওয়ার ফলে ক্লিক রেট ও সার্চ রেজাল্টে র্যাংকিং- এ সহায়ক হবে।
- টাইটেলে ব্রাকেট ব্যবহার করলে ক্লিক করার হার কয়েকগুণ বেড়ে যায়।
- টাইটেলে পাইপ (|) ব্যবহার না করাই ভালো কারণ গুগলের টাইটেল রিরাইট আপডেটের পরে পাইপকে তারা সেমিকোলন (-) দ্বারা রিপ্লেস করে দেয়।
ভালো লাগলো ভাই।
উত্তরমুছুনThanks a lot Dear.
মুছুনStay with Nayem IT and Know more.