নাইম আইটি
https://www.nayemit.com/2021/12/online-income.html
অনলাইন ইনকাম ২০২৪ : ঘরে বসে Online Income করুন
বর্তমানে অল্প পুঁজি বা পুঁজি ছাড়া টাকা আয় করার অন্যতম মাধ্যম হছে অনলাইন। অনলাইনে আয় করতে হলে আপনাকে আগে এগুলোর পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে হবে। অনলাইন ইনকাম এর অনেকগুলো উপায় রয়েছে তবে আমরা আজকে সবথেকে সহজ ও কার্যকরী কয়েকটি উপায় সম্বন্ধে আলোচনা করবো।
কেন অনলাইনে ইনকাম করার চেষ্টা করবেন?
আপনি একটু ভেবে দেখুন প্রতিদিন কি পরিমাণ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যয় করছেন। আপনি ইউটিউবে অপ্রয়োজনীয় ভিডিও দেখার মাধ্যমে নিজের মূল্যবান সময় নষ্ট করছেন। অন্যদিকে এসব ভিডিও নির্মাতারা আপনার মাধ্যমে মাসে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করছে।
এ রকম আপনার অনেক বন্ধু বান্ধব আছে যারা আপনার মত বিভিন্ন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট করে প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা সময় পার করে দিচ্ছে। আপনি যদি হিসাব করে দেখেন, আপনি প্রতিদিন গড়ে কত সময় ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা টিকটকে ব্যয় করে পার করছেন, তাহলে দেখবেন এটি ৪-৫ ঘন্টায় গিয়ে দাঁড়াবে।
আরও পড়তে পারেনঃ
তাহলে কি ভাবছেন এ সংখ্যা এক বছরে কততে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে। বছরে অন্তত ১০০০-১২০০ ঘন্টা অপচয় করছেন ইন্টারনেটে বিভিন্ন সমাজিক যোগাযোগ এর সাইটে চ্যাটিং করে। কিন্তু একবার কি আপনার কাছে জিজ্ঞাসা করেছেন যে, নিজের এই অতি মূল্যবান সময়গুলো ব্যয় করে আপনি আজ পর্যন্ত কত টাকা পেয়েছেন? অন্যদিকে আপনার অনেক বন্ধু একই মাধ্যম ব্যবহার করে মাসে লাখ খানেক টাকা উপার্জন করছে। সেখানে আপনি কিছুই করতে পারছেন না।
অনলাইনে ইনকাম করার উপায়
২০২৪ সালে অনলাইনে ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে আলোচনার আগে একটি বিষয় ক্লিয়ার করে নেই। আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে আসলেই কি অনলাইনে আয় করা সম্ভব? আপনি একবার ভাবুন যত অনলাইনে আয় করা সম্ভব না হয় তাহলে অনলাইনভিত্তিক প্লাটফর্ম গুগল, ফেসবুক, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ এগুলো টিকে আছে কীভাবে? এসব প্লাটফর্ম যেভাবে আপনার মাধ্যমে আয় করে থাকে আপনিও তাদের মাধ্যমে আয় করতে পারবেন। ফেসবুক পেজ মনিটাইজ করে আপনি মাসে লাখ টাকা আয় করতে পারবেন। গুগল এডসেন্স থেকে আমি নিজেই মোটামুটি ভালো ইনকাম করে থাকি।
ফলে বুঝতেই পারছেন অনলাইনে ইনকাম করার উপায় আসলেই আছে। অনলাইনে ইনকামের এসব পদ্ধতি আপনি নিজেও জানেন। কিন্তু পরিশ্রম ও সময়ের অভাবে হয়তো করতে পারছেন না। আজকে আমরা অল্প পরিশ্রমে টাকা আয়ের উপায় বলে দেওয়ার চেষ্টা করবো। আপনি নিশ্চিতভাবে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন এমন ৩টি মাধ্যম নিয়ে আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২৪
উপরের অনলাইনে আয় এর আলোচনা থেকে আশা করি এটার গুরুত্ব বুঝতে পেরেছেন। এবার আমরা সোজা দিকনির্দেশনায় চলে যাবো।
১. ব্লগিং করে টাকা আয়ঃ ব্লগ থেকে টাকা আয় করার বিষয়ে আমাদের অনেকের মধ্যে ভুল কনসেপ্ট আছে। অধিকাংশ লোক মনে করেন যে শুধুমাত্র ব্লগ তৈরি করলেই ব্লগ থেকে অনলাইনে আয় করা যায়। আসলে ব্লগ/ ওয়েবসাইট তৈরি করলে বা কারো ব্লগ থাকলে উক্ত ব্লগ থেকে কোন ধরনের টাকা ইনকাম করা যায় না। ব্লগ থেকে টাকা আয় করতে চাইলে আপনাকে ব্লগে নিয়মিত ভালোমানের কনটেন্ট শেয়ার করার পাশাপাশি ব্লগকে জনপ্রিয় করে তোলার মাধ্যমে ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসতে হবে।
যখন আপনার ব্লগে প্রচুর পরিমানে ট্রাফিক বা অর্গানিক ভিজিটর থাকবে তখন আপনার ব্লগের মাধ্যমে অনলাইনে ইনকামের পথ তৈরি হয়ে যাবে। সেই সময়ে আপনার ব্লগকে কাজে লাগিয়ে অনায়েশে অনলাইনে বিভিন্ন উপায়ে ভালোমানের টাকা আয় করতে পারবেন। এর মধ্যে জনপ্রিয় হলো গুগল এডসেন্স ও এফিলিয়েট প্রোগ্রাম থেকে টাকা ইনকাম করা। ব্লগ থেকে কি পরিমান ইনকাম হবে সেটা আপনার ব্লগের জনপ্রিয়তার উপর নির্ভর করবে। তবে ধারণা নিতে চাইলে বলতে পারি প্রতি ১ হাজার ইউনিক ভিজিটরের জন্য মোটামুটি ৫-১০ ডলার পর্যন্ত পাবেন যদি বাংলা ব্লগ হয়। অর্থাৎ আপনার ব্লগে যত বেশি ট্রাফিক থাকবে আপনার ইনকাম এর পরিমাণ তত বেশি হবে।
২. এডসেন্স থেকে টাকা আয় করার উপায়ঃ গুগল এডসেন্স হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপনের (Advertisement) সংস্থা। গুগলের ভাষ্যমতে তাদের আয়ের ৯৫ আসে বিজ্ঞাপন বাবদ। সাধারণত যে কোন বড় কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টের প্রচার করার জন্য টেলিভিশনে এবং পত্রিকায় তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। তখন আমরা সাধারণ মানুষ টেলিভিশনে বিজ্ঞাপন দেখে বা পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে উক্ত কোম্পানির প্রোডাক্টের সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারি। কিন্তু বর্তমানে টিভি বা পত্রিকার চেয়ে মানুষ বেশি পরিমাণে অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়ছে।
ঠিক একইভাবে বড় বড় কোম্পানিগুলোর পাশাপাশি ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন অনলাইনের মাধ্যমে প্রচারের জন্য কোম্পানির প্রোডাক্টের বিভিন্ন বিজ্ঞাপন মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে গুগলের কাছে জমা দেয়। গুগল তখন তাদের এডসেন্স সংস্থার মাধ্যমে সেই বিজ্ঞাপনগুলো আমাদের ব্লগে ওয়েবসাইটে ব্যবহার করার অনুমতি দিয়ে থাকে। আর আমাদের ব্লগে সেই বিজ্ঞাপনে যখন ভিজিটররা ক্লিক করে তখন আমাদের টাকা ইনকাম হয়। তবে বাংলাদেশের বাইরে এই ইনকামের পরিমাণ আরও বেশি।
৩. এফিলিয়েট মার্কেটিংঃ বর্তমানে অনলাইনে অনেক বড় বড় ই-কমার্স প্লাটফর্ম রয়েছে। যেমন- এমাজন এফিলিয়েট (বিশ্বের সবথেকে বড় এফিলিয়েট প্রোগ্রাম), আলিবাবা, ফ্লিপকার্ট, নেইমচিপ। আমাদের দেশের জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট হচ্ছে Daraz ও Foodpanda এ ধরণের ই-কমার্স সাইট লো তাদের প্রোডাক্ট প্রচারের জন্য বিভিন্ন ভাবে প্রচারনা চালায়।
এ ক্ষেত্রে আপনার ঐ সমস্ত ই-কমার্স সাইটে রেজিস্ট্রেশন করে তাদের প্রোডাক্টের কোন ইউনিক লিংক (সেটা তারাই দিয়ে দিবে আপনাকে) আপনার ব্লগে শেয়ার করতে হবে। এক্ষেত্রে ই-কমার্স লিংক শেয়ার করার পূর্বে কাঙ্খিত পণ্য এর ভালো দিকগুলো তুলে ধরে একটি রিভিউ আপনাকে লিখতে হবে যাতে করে পাঠকরা কেনার জন্য আকৃষ্ট হয়। তখন প্রোডাক্ট সম্পর্কে পড়ার পর আপনার শেয়ার করা লিংকে ক্লিক করে ঐ অনলাইন ই-কমার্স সাইট থেকে পণ্য কিনলে সেই পণ্যের দাম হতে একটা নির্দিষ্ট কমিশন আপনাকে দেওয়া হবে। সাধারণত এভাবে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইনে টাকা আয় করা যায়।
Thank You So much Dear Brother.
উত্তরমুছুনWish u all the Best.
Welcome
মুছুনStay with nayemit