নাইম আইটি
https://www.nayemit.com/2021/12/website-traffic.html
২০২৪ সালে ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কমার কারণ ও সমাধান
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও)- এর এই পর্বে আমরা ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধির উপায় ও কি কি কারণে ওয়েবসাইট ট্রাফিক কমতে পারে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আসলে এসইও একটি চলন্ত প্লেনের মত; একটি চলন্ত প্লেন যেমন আপনাকে আকাশে নিয়ে যায় ঠিক তেমনি এসইও আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। অন্যদিকে একটি প্লেন যখন ক্রাশ করতে নেয় তখন পিছনের দরজা দিয়ে পালানোর সুযোগ থাকে। ঠিক তেমনি যখন আপনার সাইটের ট্রাফিক কমে যাবে তখন কি পদক্ষেপ নিবেন সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য পোস্টটি পড়তে থাকুন।
প্রথমেই আলোচনা করা যাক আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কমতে থাকলে কি করবেন আর কি করবেন না।এখানে আমরা পাঁচটি বিষয় উল্লেখ করবেন সেগুলো অবশ্যই আপনার করতে হবে। যথাঃ
১. গুগলের নতুন কোন ব্রডকোর আপডেট সেছে কিনা সেটি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে নিন। গুগল প্রতিদিনই কোনো না কোনো আপডেট দিয়ে থাকে। তবে তাদের ব্রডকোর আপডেট সম্পর্কে টুইটারে তারা শেয়ার করে থাকে। আপনি যদি দেখেন আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক হুট করেই অনেক কমে গেছে তাহলে বুঝতে হবে গুগলের কোন আপডেটই তারা স্টার্ট হয়েছেন।
২. ওয়েবসাইট ট্রাফিক কমে যাওয়ার আরেকটি অন্যতম কারণ গুগলের ম্যানুয়াল পেনাল্টি দ্বারা আপনার ওয়েবসাইট আক্রান্ত হওয়া। যদি এই ধরনের কোন ঘটনা ঘটে তবে নিচের ছবির মত আপনারটা ট্রাফিকের গ্রাফ দেখা যাবে। তাছাড়া পেনাল্টির ক্ষেত্রে আপনি গুগল সার্চ কনোসলে গেলে বুঝতে পারবেন।
৩. যদি উপরের কোনটি না হয় তাহলে বুঝতে হবে গুগলের কাজের দ্বারা আপনার সাইটের ট্রাফিক কমে যায়নি। এক্ষেত্রে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে গুগল বট আপনার সাইটটিকে ঠিকমতো ক্রাউল করতে পারছে কিনা। এটি বুঝার জন্য আপনি অত্যন্ত জনপ্রিয় টুলস 'Screaming Frog' এর সহায়তা নিতে পারেন। এটির জন্য প্রথমে আপনাকে এই লিঙ্কে ক্লিক করে 'Screaming Frog' টুলসটি ডাউনলোড করতে হবে। এই টুলসটি ইন্সটল করার পর আপনাকে প্রথমে 'Configuration' এ ক্লিক করতে হবে। এরপরে 'User Agent' থেকে 'Google Bot (Smartphone)' সিলেক্ট করতে হবে। এরপরে Ok বাটনে ক্লিক করে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন আপনার সাইটের কোন কোন পোস্ট গুগোল ইন্ডেক্স করেনি সেগুলো দেখানো হবে।
৪. আপনি যদি নিয়মিত ট্রেন্ডিং টপিকে পোস্ট লিখে থাকনে তবে আপনার সাইটের ট্রাফিক ড্রপ করা খুব স্বাভাবিক। ফলে কিওয়ার্ড নির্বাচনের সময় শুধুমাত্র ট্রেন্ডিং টপিককে প্রাধান্য না দিয়ে সারা বছরজুড়ে মানুষ সার্চ করে এমন কিওয়ার্ড নির্বাচন করুন। এক্ষেত্রে আপনার ট্রেন্ডিং কিওয়ার্ডের উপর লেখা পোস্টগুলোতে এক্সট্রা কিছু কিওয়ার্ড যুক্ত করুন। তবে রিলেটিভ কিওয়ার্ড যুক্ত না করলে উল্টো ট্রাফিক কমে যাবে। তাছাড়া কোন প্রয়োজন ছাড়া গুগলে র্যাংক করা কোন পোস্ট আপডেট করবেন না। অনেক সময় র্যাংক ড্রপ করে।
৫. সর্বশেষ ধাপে আপনি আপনার ব্যাকলিংকগুলো চেক করুন। এটি অফ পেইজ এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যদি কোন কারণে আপনার সাইটে খারাপ ব্যাকলিংক এসে থাকে তবে সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব রিমুভ করে দিন। এই কাজটি করার জন্য আপনি এই লিংকে চাপ দিন। পরে আপনার সাইটের লিংক পেস্ট করুন এবং Moz দেখিয়ে দিবে আপনার করা কোন কোন ব্যাকলিংক ওয়েবসাইটের স্প্যাম স্কোর কত। এবার আপনি অথোরিটি ও স্প্যাম স্কোর তুলনা করে অপ্রয়োজনীয় ব্যাকলিংকে গুগল সার্চ কনসোল থেকে Disavow করে দিন।
আশাকরি ওয়েবসাইটে ট্রাফিক কমার কারণ ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এবার আমরা ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানোর পাঁচটি উপায় সম্পর্কে জানবো।
১. ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানোর প্রধান উপায় হলো নিয়মিত কনটেন্ট পাবলিশ করে যাওয়া। তাছাড়া কন্টেন্টে ঠিকমতো ইন্টার্নাল লিংকিং এবং এক্সটারনাল লিংকিং করতে হবে। ইন্টার্নাল লিংকিং এবং এক্সটারনাল লিংকিং আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন অথোরিটি (DA বা Domain Authority আপনার ওয়েবসাইটের জন্য একটি স্কোর যা ১০০ এর মধ্যে প্রধান করা হয়। তবে অনেকগুলো ফ্যাক্টর এই ডোমেইন অথোরিটির সাথে যুক্ত) বাড়াতে সাহায্য করবে।
২. আপনার কনটেন্টের টাইটেল অপটিমাইজ ঠিকভাবে করতে হবে। টাইটেল অবশ্যই ৫০-৬০ অক্ষরের মধ্যে লিখবেন (এখানে অক্ষর বলা হয়েছে শব্দ নয়)। তবে গুগল এটিকে পিক্সেল এককে পরিমাপ করে থাকে। সাধারণত ৬০০ পিক্সেলের বেশি শব্দ গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজে দেখায় না। তাছাড়া আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনার পারমালিংক অবশ্যই কনটেন্ট রিলেটেড দিবেন। আপনার আর্টিকেল অনপেজ এসইও এর উপর হলে পারমালিংক দিবেন 'on-page-seo'। মনে রাখবেন পারমালিংক ছোট হলে সুন্দর লাগে এবং প্রতিটি শব্দের মাঝে হাইফেন ব্যবহার করবেন।
৩. ব্লগারদের মাঝে আগে Keyword Density নামে একটি ভুল ধারণা ছিল। আর্টিকেলে ফোকাস কিওয়ার্ড কত শতাংশ রাখতে হবে এটি মুখ্য বিষয় নয়। বরং প্রয়োজন অনুসারে 1000 শব্দের আর্টিকেলে আপনি ফোকাস কিওয়ার্ড ২-৩ বার ব্যবহার করলেও সমস্যা নেই। গুগল একটি আর্টিকেলকে অনেকগুলো কিওয়ার্ডের উপর র্যাংক দিয়ে থাকে। ফলে ফোকাস কিওয়ার্ড ধারণা বাদ দিয়ে রিলেটেড কিওয়ার্ড বেশি করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন।
৪. অনপেজ এসইও'র আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ওয়েবসাইট স্পিড অপটিমাইজেশন। আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড বৃদ্ধি করার জন্য সাইটের অব্যবহৃত জাভাস্ক্রিপ্ট ও সিএসএস রিমুভ করে দিতে হবে।তাছাড়া সিএসএস ও জাভাস্ক্রিপ্ট মিনিফাই করতে পারেন। এছাড়া সাইটের ডিজাইনের জন্য অতিরিক্ত জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহার করবেন না। জাভাস্ক্রিপ্ট ওয়েবসাইট দ্রুত লোডিং এর জন্য প্রধান প্রতিবন্ধক।
৫. যেকোনো কনটেন্টের প্রধান আকর্ষণ হলো সেখানে ব্যবহৃত ইমেজ। তবে ইমেজ বা ছবি ঠিকভাবে অপটিমাইজেশন না করলে ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম অনেক বেড়ে যায়। ইতোপূর্বে আমরা Image Optimization এর উপর একটি চমৎকার শেয়ার করেছি। আপনি চাইলে সেটি পড়ে আসতে পারেন।
শেষ কথাঃ আশাকরি ওয়েবসাইটে ভিজিটর কমার কারণ এবং কিভাবে ওয়েব সাইটে ভিজিটর বাড়াবেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পেরেছি। যদি কোথাও বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। তবে কমেন্টে কোন ওয়েবসাইটের লিংক শেয়ার না করার জন্য অনুরোধ করছি।
khub valo bujhlam vai. Ei topic e aro post korben kindly.
উত্তরমুছুনTnq u so much Brother.
মুছুনStay with nayemit.com
অসংখ্য ধন্যবাদ। উপকারী পোস্ট।
উত্তরমুছুন