নাইম আইটি
https://www.nayemit.com/2022/02/bring-from-abroad.html
বিদেশ থেকে টাকা আনার সঠিক নিয়ম | বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম | কিভাবে বিদেশ থেকে মোবাইল আনবেন?
বিদেশ থেকে টাকা আনার নিয়ম | বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম | বিদেশ থেকে মোবাইল আনার নিয়ম ২০২৪ - আজকে আমরা আলোচনা করবো কিভাবে আপনি বিদেশ থেকে আপনার রেমিটেন্স পাঠাবেন বা কেউ টাকা আনবে, কিভাবে মোবাইল বা যেকোনো পার্সেল আনবেন সে সম্পর্কে। এই পোস্টটি পড়লে আপনার আর কোন কনফিউশন থাকবে না।
বিদেশ থেকে টাকা আনার নিয়ম
বিদেশ থেকে টাকা আনার নিয়ম সম্পর্কে আজকে আমরা বিশ্বস্ত কয়েকটি মাধ্যম সম্পর্কে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। বিদেশ থেকে টাকা আনার সহজ উপায় রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না ফলে বেশি চার্জ দিয়ে টাকা আনতে হয়। শুরুতেই জেনে নেওয়া যাক বিদেশ থেকে টাকা আনার সেরা উপায় ২০২২।
বিদেশ থেকে কি বিকাশে টাকা আনা যায়?
হ্যাঁ আপনি বেশ থেকে বিকাশে টাকা আনতে পারবেন। বিকাশের নেটওয়ার্ক বর্তমানে অনেক বেশি বিস্তৃত যে বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে আপনি বিকাশের মাধ্যমে টাকা আনতে পারবেন। তাছাড়া আপনার ওয়াইজ (wise) একাউন্টের মাধ্যমেও দেশের বাইরে থেকে টাকা আনতে পারবেন।
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী প্রবাসীরা খুব সহজে এবং সুবিধাজনক পদ্ধতিতে অনুমোদিত এবং তালিকাভুক্ত বিদেশী ব্যাংক, মানি ট্রান্সফার অর্গানাইজেশন (এমটিও) এবং মানি এক্সচেইঞ্জ হাউজগুলোর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রিয়জনের বিকাশ একাউন্টে আপনার অর্থ পাঠাতে পারবেন।
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে বিকাশ একাউন্টে টাকা পাঠানোর নিয়ম
- অনুমোদিত এবং পার্টনার ব্যাংক ব্রাঞ্চ/ মানি এক্সচেঞ্জ/ এমটিও এজেন্ট এর কাছে যাবেন
- বিকাশ একাউন্ট নাম্বার এবং পুরো নাম প্রদান করুন (বিকাশ একাউন্ট খোলার সময়)
- প্রয়োজনীয় টাকা প্রদান করুন এবং ব্যাংক/ মানি এক্সচেঞ্জ/ এমটিও এজেন্টকে কাজটি শুরু এবং সম্পন্ন করতে বলুন।
ব্যাংক/ এক্সচেইঞ্জ হাউজ/ এমটিও এজেন্ট বিদেশ থেকে রেমিট্যান্স পাঠানোর সময় নিম্নলখিত বিষয়গুলো নিশ্চিত করে থাকেনঃ
- প্রাপকের একটি রেজিস্টার্ড এবং বৈধ বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে।
- প্রাপকের বিকাশ একাউন্ট নাম্বার এবং পুরো নাম সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে।
- পাঠানো রেমিটেন্স (বাংলাদেশী মুদ্রায়) সীমা অতিক্রম করছে কিনা না*
তালিকাভুক্ত মানি এক্সচেঞ্জ / ব্যাংকসমূহ এবং যেসব দেশ থেকে রেমিটেন্স পাঠানো যাবেঃ
ওয়াইজ (Wise Money Transfer In Bangladesh)
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক মানি ট্রান্সফার কোম্পানি হলো ওয়াইজ। বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আনার অন্যতম জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে এটিকে গণ্য করা হয়। ২০১৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ২০ মিলিয়নের অধিক গ্রাহককে সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সবচেয়ে কম খরচে বিদেশ থেকে টাকা আনার জন্য যেকোনো লোকাল ব্যাংক থেকে ওয়াইজ ব্যবহার করে মানি ট্রান্সফার করা যায়। শুরুতে এই প্রতিষ্ঠানের নাম ছিল “ট্রান্সফারওয়াইজ”, যা পরে নাম বদলে “ওয়াইজ” নামে সবার কাছে পরিচিত হয়।
ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন টাকা পাঠানোর নিয়ম
বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আনার অন্যতম জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন মোবাইল অ্যাপস ব্যবহার করে বেশ সহজে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা আনা যাবে। ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন অ্যাপস ব্যবহার করে বিদেশ থেকে টাকা পাঠানোর নিয়ম বেশ সহজ।
বাংলাদেশি প্রবাসীরা যে দেশ থেকে টাকা পাঠাবে হবে উক্ত দেশের মুদ্রাকে টাকায় রুপান্তর করবে। বাংলাদেশের যে কোনো ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফার করার জন্য ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন সেবা ব্যবহার করতে পারেন। যে ব্যক্তির কাছে টাকা পাঠানো হবে তিনি যথাযথ তথ্য প্রদান করে ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন প্রদত্ত লোকেশন থেকে অর্থ উত্তোলন করতে পারবেন।
তাছাড়া বলে রাখা ভালো ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন একাউন্ট ব্যবহার করে একজন ব্যবহারকারী নিজে থেকেই টাকা পাঠাতে পারবেন। আবার ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন এর নির্ধারিত এজেন্ট এর কাছে গিয়েও টাকা পাঠানোর সুযোগ রয়েছে।
বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম
বিদেশ থেকে পার্সেল আনার নিয়ম অনেকগুলো রয়েছে। এর মধ্যে এখানে আমরা প্রথমে বিদেশ থেকে পার্সেল আনার খরচ সম্পর্কে আলোচনা করবো। আপনি FedEx এর মাধ্যমে বাইরে থেকে যেকোনো পার্সেল আনতে পারবেন। সাধারণত দেশভেদে এটার খরচ বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনার পার্সেলের ওজন ও ধরণ অনুযায়ী খরচ উঠানামা করবে।
ফেডএক্স এর মাধ্যমে পার্সেল নিতে চাইলে বাইরের যে সকল দেশে তাদের শাখা বা এজেন্ট রয়েছে তাদের মাধ্যমে আগে পার্সেলটি বাংলাদেশি কোন ঠিকানায় পাঠাতে হবে। এরপর তাদের বাংলাদেশি অফিস থেকে আপনাকে ফোন দিয়ে তারা জানাবে যে আপনার নামে একটি পার্সেল এসেছে এবং আপনি এটি কিভাবে নিবেন।
এই পোস্টের সাথে আরও পড়ুনঃ
এখানে কাস্টমস ক্লিয়ারেন্সের একটি বিষয় আছে। আমরা জানি বিদেশ থেকে কোন পার্সেল আসলে আগে সেটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ক্লিয়ারেন্স করাতে হয়। ফলে তারা আপনাকে জিজ্ঞাসা করবেন এই কাজটি কি আপনি করবেন না তারা করে দিবে? আমার মতে কাজটি তারা করলেই ভালো হয়। তবে এটির জন্য আপনাকে অতিরিক্ত চার্জ দিতে হবে। পাশাপাশি আপনি যদি পার্সেল হোম ডেলিভারি নেন সেটির জন্য আলাদা ডেলিভারি ফি ফিতে হবে। তবে তাদের অফিস থেকে পার্সেল আনার ক্ষেত্রে ডেলিভারি চার্জ দেওয়া লাগবে না।
বিদেশ থেকে মোবাইল আনার নিয়ম
বিদেশ থেকে মোবাইল আনার নিয়ম সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। তাছাড়া অনেকে জানতে চান বিদেশ থেকে কয়টি মোবাইল আনা যায়?
বিদেশ থেকে আপনি বৈধভাবে ২টি মোবাইল আনতে পারবেন। তবে অতিরিক্ত শুল্ক প্রদান করে আপনি সর্বোচ্চ ৬টি ফোন বিদেশ থেকে আনতে পারবেন।
বিদেশ থেকে আনা মোবাইল ফোনের বৈধতা যাচাই এর জন্য বাংলাদেশ সরকার ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার ব্যবস্থা চালু করেছে। তবে উক্ত কার্যক্রমকে আপাতত তিন মাসের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে কাজেই তিন মাস হয়ে গেলে এরপর থেকে কিভাবে আপনি বিদেশ থেকে আসলে মোবাইল আনবেন।
বিদেশ থেকে আনা অতিরিক্ত ফোন নিবন্ধনের জন্য কি কি ডকুমেন্ট দরকার হবে?
বিদেশ থেকে আনা সর্বোচ্চ ২টি মোবাইল ফোন নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আপনার পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের দেওয়া আগমনের সিলমোহর সংবলিত পাতার স্ক্যান কপি অথবা ফটোকপি লাগবে।
বিদেশ থেকে শুল্ক পরিশোধ করে আনা সর্বোচ্চ ৬টি মোবাইল ফোনের নিবন্ধন এর ক্ষেত্রে পাসপোর্ট নম্বর, পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের দেওয়া সিলমোহর সংবলিত পাতার স্ক্যান কপি অথবা ফটোকপি ও কাস্টমস শুল্ক পরিশোধসংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান অথবা ফটোকপি লাগবে।
এছাড়া আপনি যদি বিদেশ থেকে কুরিয়ার এর মাধ্যমে ফোন আনতে চাইলে সেটির নিবন্ধনের ক্ষেত্রে কমার্শিয়াল ইনভয়েসের স্ক্যান/ ফটোকপি, প্রাপকের জাতীয় পরিচয়পত্রের স্ক্যান/ ফটোকপি এবং কাস্টমস শুল্ক পরিশোধসংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান/ ফটোকপি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হবে।
আশা করি বিদেশ থেকে টাকা আনার নিয়ম, মোবাইল আনার নিয়ম ও পার্সেল আনার নিয়ম বুঝাতে পেরেছি। যদি কোথাও বুঝতে সমস্যা হয় কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
0 জন কমেন্ট করেছেন
Please read our Comment Policy before commenting.