নাইম আইটি
https://www.nayemit.com/2022/04/ajker-ifter-o-sehri.html
আজকের ইফতার ও সেহরির সময়সূচি ২০২২
ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ঘোষিত ঢাকা ও তার পাশ্ববর্তী এলাকার জন্য আজকের ইফতার ও সেহরির (০৯ রমজানের) সময়সূচি এবং ইফতারের দোয়া ও রোজার নিয়ত তুলে ধরা হলো -
রমজান | স্থান | ইফতারের সময় | সেহরির সময় |
---|---|---|---|
০৮ | ঢাকা | ৬:২২ মিনিট | ৪:২০ মিনিট |
০৯ | ৬:২২ মিনিট | ৪:১৯ মিনিট | |
১০ | ৬:২৩ মিনিট | ৪:১৮ মিনিট | |
১১ | ৬:২৩ মিনিট | ৪:১৬ মিনিট | |
১২ | ৬:২৩ মিনিট | ৪:১৫ মিনিট | |
১৩ | ৬:২৪ মিনিট | ৪:১৪ মিনিট | |
১৪ | ৬:২৪ মিনিট | ৪:১৩ মিনিট | |
১৫ | ৬:২৪ মিনিট | ৪:১২ মিনিট | |
১৬ | ৬:২৫ মিনিট | ৪:১১ মিনিট | |
১৭ | ৬:২৫ মিনিট | ৪:১০ মিনিট | |
১৮ | ৬:২৬ মিনিট | ৪:০৯ মিনিট | |
১৯ | ৬:২৬ মিনিট | ৪:০৮ মিনিট | |
২০ | ৬:২৭ মিনিট | ৪:০৭ মিনিট | |
২১ | ৬:২৭ মিনিট | ৪:০৬ মিনিট | |
২২ | ৬:২৮ মিনিট | ৪:০৬ মিনিট | |
২৩ | ৬:২৮ মিনিট | ৪:০৫ মিনিট | |
২৪ | ৬:২৯ মিনিট | ৪:০৫ মিনিট | |
২৫ | ৬:২৯ মিনিট | ৪:০৪ মিনিট | |
২৬ | ৬:২৯ মিনিট | ৪:০৩ মিনিট | |
২৭ | ৬:৩০ মিনিট | ৪:০২ মিনিট | |
২৮ | ৬:৩০ মিনিট | ৪:০১ মিনিট | |
২৯ | ৬:৩১ মিনিট | ৪:০০ মিনিট | |
৩০ | ৬:৩১ মিনিট | ৩:৫৯ মিনিট |
তবে দূরত্ব অনুযায়ী ঢাকার সময়ের সাথে সর্বোচ্চ ১১ মিনিট পর্যন্ত যোগ করে ও ১০ মিনিট পর্যন্ত বিয়োগ করে দেশের বিভিন্ন জেলার মানুষ সেহরি ও ইফতার করতে পারবে বলে জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
ইফতারের দোয়া
بِسْمِ الله - اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ وَ اَفْطَرْتُ
উচ্চারণ : ‘বিসমিল্লাহি - আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আলা রিযক্বিকা আফত্বারতু।'
অর্থ : ‘আল্লাহর নামে (শুরু করছি); হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেওয়া রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ, মিশকাত)
সেহরির পর রোজার নিয়ত
بِصَوْمِ غَدًا نَوَيْتُ مِنْ شَهْرِ رَمَضَان
উচ্চারণ : ‘বিসাওমি গাদান নাওয়াইতু মিন শাহরি রামাদান।
অর্থ : আমি রমজান মাসের আগামীকালের রোজা রাখার নিয়ত করছি।
রোজা শব্দের অর্থ কী?
সিয়াম বা রোজা শব্দের সাধারণ অর্থ হচ্ছে বিরত থাকা। আর যে ব্যক্তি চুপ থাকে তাকে সায়েম বলা হয়। আল্লাহ তায়ালা হযরত মরিয়ম আলাইহি ওয়া সাল্লামের ঘটনা তুলে ধরে বর্ণনা করেন, ফাইম্মা তারাইন্না মিনাল বাশারি আহাদান ফাকুলি ইন্নি নাজারতু লির রাহমানি সাওমান ফালান উকাল্লিমাল ইয়াওমা ইনসিয়ান।
অর্থঃ (সন্তান ভূমিষ্ঠের পর) যদি মানুষের মধ্যে কাউকে তুমি দেখ (কোনো প্রশ্ন বা কৈফিয়ত করতে) তবে তুমি বলো, ‘আমি দয়াময় আল্লাহর উদ্দেশে সাওম বা রোজা (কথা বলা থেকে বিরত থাকতে) মানত করছি। সুতরাং আজ আমি কিছুতেই কোনো মানুষের সঙ্গে কথা বলবো না। (সুরা মারইয়াম : আয়াত ২৬)
[কোরআন কারিমের এ আয়াতের শিক্ষনীয় ঘটনা : হযরত মরিয়ম আলাইহি ওয়া সাল্লামের গর্ভে সন্তান জন্ম লাভের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন, শিশুর ব্যাপারে তোমার কিছু বলার প্রয়োজন নেই। তার জন্মের ব্যাপারে যে কেউ আপত্তি তুলবে তার জবাব দেবার দায়িত্ব এখন আমার (আল্লাহর)। উল্লেখ্য, বনি ইসরাঈলের মধ্যে মৌনতা বা কথা বলা থেকে বিরত থাকার পদ্ধতি অবলম্বনের রোজা রাখার রীতি ছিল।]
বলা বাহুল্য এখানে ‘সওম’ এর অর্থ হলো কথা বলা থেকে বিরত থাকা।
শরিয়তের পরিভাষায় রোজা বা সিয়াম হলো - ফজর তথা সূর্যোদয়ের পূর্ব থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার, স্ত্রী-সঙ্গম, অশ্লীলতা ও অসার ফাহেশা কথা-বার্তাসহ ইত্যাদি যাবতীয় রোযা নষ্টকারী কাজ থেকে বিরত থাকার মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত বন্দেগি করা।
কারণ প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ‘কেবল পানাহার থেকে বিরত থাকার নামই সাওম নয়; বরং অসারতা ও অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকার নামই হলো (প্রকৃত) সিয়াম। সুতরাং যদি তোমাকে কেউ গালিগালাজ করে অথবা তোমার প্রতি মুর্খতা দেখায়, তাহলে তুমি (তার প্রতিকার বা প্রতিশোধ না নিয়ে) তাকে বলো যে, আমি রোজাদার, আমি রোযা রেখেছি, আমি রোযা রেখেছি। (মুস্তাদরেকে হাকেম, ইবনে হিব্বান, সহিহুল জামেইস সাগির)।
রমজানের দোয়া ও আমল
রহমত, বরক্ মাগফেরাত ও নাজাতের মাস পবিত্র মাহে রমজান। নেয়ামতে ভরপুর এ মাসে রাসুল (সাঃ) বিশেষ চারটি আমলের কথা বলেছেন। আমলগুলোর পাশাপাশি রয়েছে কিছু দোয়া, জিকির, তাওবাহ ও ইসতেগফার রয়েছে। এর বিনিময়ে রয়েছে বেশকিছু সুখবর যা রাসুলের (সাঃ) পক্ষ থেকে এসেছে। নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিয়ামকে স্বাগত জানাতে গিয়ে তাঁর উম্মতদের উদ্দেশ্যে এ আমলগুলোর দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। তাহলে চলুন সেই আমল ও দোয়াগুলো জেনে নেওয়া যাক।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লামের নির্দেশনা অনুযায়ী মুসলিম উম্মাহ বিশেষ চারটি আমল, জিকির ও দোয়া করার মাধ্যমে মাসটি ইবাদতে কাটাবে। সিয়াম পালনকারীদের জন্য মাসটি ইবাদতের বসন্তকালে পরিণত হবে। আমল চারটির মধ্যে দুটি মহান আল্লাহ'তালার জন্য আর দুটি তাঁর বান্দার জন্য। হাদিসে এসেছে -
হজরত সালমান ফারসি (রাঃ) বর্ণনা করেন, ‘শাবান মাসের শেষ দিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্য এ মর্মে নির্দেশ দেন যে-
‘হে উপস্থিতি! অবশ্যই তোমাদের সামনে পবিত্র মাস, বরকতময় মাস উপস্থিত। এ মাসে তোমরা চারটি আমল বেশি বেশি আদায় করবে। এর মধ্যে ২টি কাজ আল্লাহর জন্য আর ২টি কাজ তোমাদের নিজেদের জন্য।’
রমজান মাসে আল্লাহর জন্য ২ আমল
১. কালেমার সর্বোত্তম তাসবিহ- لَا اِلَهَ اِلَّا الله 'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ' বেশি বেশি পাঠ করা।
২. আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ইসতেগফার তথা ক্ষমা প্রার্থনা করা। তা হলো-
কালেমা পাঠের কারণ
এ কালেমা মানুষকে এক আল্লাহর স্বীকৃতি তথা তাওহিদের দিকে নিয়ে যায়। মানুষের সবচেয়ে বড় অপরাধ শিরক থেকে মুক্ত রাখে। যে উদ্দেশ্যে আল্লাহ যুগে যুগে নবি-রাসুলগণ পাঠিয়েছেন। আর আমাদের জন্য দিয়েছেন মহাগ্রন্থ আল-কোরআন। তাই কোরআন নাজিলের পবিত্র এই মাসে মহান আল্লাহর তাওহিদের স্বীকৃতি দিতেই একনিষ্ঠতার সঙ্গে সঙ্গে বেশি বেশি কালেমার তাসবিহ পাঠ করতে হবে।
ইসতেগফার বেশি বেশি পড়ার করার কারণ
এ কারণেই কোরআন-হাদিসে বেশি বেশি তাওবাহ ইসতেগফার করার ব্যাপারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কারণ গুনাহমুক্ত জীবনের অন্যতম উপায় হচ্ছে তাওবাহ ও ইসতেগফার করা। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন-
وَمَن يَعْمَلْ سُوءًا أَوْ يَظْلِمْ نَفْسَهُ ثُمَّ يَسْتَغْفِرِ اللّهَ يَجِدِ اللّهَ غَفُورًا رَّحِيمًا
'যে গুনাহ করে কিংবা নিজের অনিষ্ট করে, অতপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, করুণাময় পায়।' (সুরা নিসা : আয়াত ১১০)
'নিশ্চয়ই মুনাফিকরা জাহান্নামের নিম্নতম স্তরে অবস্থান করবে এবং তুমি কখনও তাদের জন্য সাহায্যকারী পাবে না। কিন্তু যারা তওবাহ করে ও সংশোধন হয় তারা ব্যতিত।' (সুরা নিসা : আয়াত ১৪৫-১৪৬)
وَتُوْبُوْا إِلَى اللهِ جَمِيْعاً أَيُّهَا الْمُؤْمِنُوْنَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُوْنَ
'হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহর দিকে প্রত্যাবর্তন কর, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।' (সুরা নুর : আয়াত ৩১)
তাই তো আল্লাহ বলেন, তোমরা তোমাদের রবের নিকট ইসতেগফার কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও দয়ালু। ইসতেগফারের কারণে মহান আল্লাহ অনেক কঠিন অবস্থা থেকে মানুষকে হেফাজত করবেন। তা হলো-
> দেশে যদি খরা বা বিপর্যয় তৈরি হয় তবে- আকাশ থেকে মেঘ বর্ষণ করবেন। দেশ মরুভূমিতে পরিণত হবে না। বরং সুন্দর পরিবেশ তৈরি হবে।
> নিজেদের আয় রোজগার বৃদ্ধি পাবে। কখনো অভাব অনটন আসবে না।
> সন্তান-সন্তুতি না থাকলে আল্লাহ সন্তান-সন্তুতি দান করবেন।
> পরিবেশেকে সবুজময় করে দেবেন।
> পরিবেশকে সুন্দর করতে নদি-নালা প্রবাহিত করাবেন।
>> নিজেদের দুই আমল
৩. আল্লাহর কাছে জান্নাত প্রার্থনা করা।
৪. জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি চাওয়া।
জান্নাত চাওয়ার কারণ
জান্নাত হচ্ছে মুমিনের আসল ঠিকানা। যে ঠিকানায় বসবাসের ফলে মুমিন কখনো বৃদ্ধ হবে না। ব্যবহারের কোনো জিনিসপত্র পুরাতন বা নষ্ট হবে না। যেখানে বিরাজমান থাকবে মধুমিশ্রিত বৃহৎ নদী। থাকবে মদের ফোয়ারা যা হালাল। যে মদ পানে দুনিয়ার মতো মাতাল কিংবা অসুস্থ হবে না মানুষ। সেখানে শেষ হবে না মানুষে যৌবন। হাদিসে পাকে এ জান্নাত লাভের প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে। হাদিসে এসেছে-
‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কোনো কিছু চায় না আল্লাহ তাআলা তার প্রতি রাগান্বিত হন।’
তাই জান্নাত পেতে আল্লাহর কাছে বেশি বেশি প্রার্থনা, আকুতি জানাতে হবে।
জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাওয়ার কারণ
আল্লাহর কোনো বান্দা জাহান্নামের আগুনে জ্বলবে, এটা মহান আল্লাহ নিজেও চান না। পরকালের চিরস্থায়ী জীবন যেন আল্লাহর ভয়াবহ আজাবে পরিণত না হয় সে জন্যই বেশি বেশি ক্ষমা চাইতে হবে। আর ক্ষমা প্রার্থনাকারীদের আল্লাহতা'লা সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন।
রাসুলুল্লাহ (সাঃ)- এর এ হাদিসটিতে ঘোষিত ৪টি আমলের যথাযথ বাস্তবায়নে এ দোয়াগুলো পড়া জরুরি। যা ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরা হলো-
বেশি বেশি কালেমা এ তাসবিহ পড়া
لَا اِلَهَ اِلَّا الله
উচ্চারণ : ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’
অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই।
বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার করা। সাইয়্যেদুল ইসতেগফারসহ কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
> أَستَغْفِرُ اللهَ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহ।’
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
নিয়ম : প্রতি ওয়াক্ত ফরজ নামাজের সালাম ফেরানোর পর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ইসতেগফারটি ৩ বার পড়তেন।' (মিশকাত)
> أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : ‘আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।‘
অর্থ : আমি আল্লাহর ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর দিকেই ফিরে আসছি।
নিয়ম : এ ইসতেগফারটি প্রতিদিন ৭০/১০০ বার পড়া। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তাওবাহ ও ইসতেগফার করতেন।' (বুখারি)
> رَبِّ اغْفِرْ لِيْ وَتُبْ عَلَيَّ إِنَّكَ (أنْتَ) التَّوَّابُ الرَّحِيْمُ
উচ্চারণ : 'রাব্বিগ্ ফিরলি ওয়া তুব আলাইয়্যা ইন্নাকা (আংতাত) তাওয়্যাবুর রাহিম।'
অর্থ : 'হে আমার প্রভু! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন এবং আমার তাওবাহ কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি মহান তাওবা কবুলকারী করুণাময়।'
নিয়ম : রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মসজিদে বসে এক বৈঠকেই এই দোয়া ১০০ বার পড়েছেন।' (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, তিরমিজি, মিশকাত)
> أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
উচ্চারণ : 'আস্তাগফিরুল্লা হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল কইয়্যুমু ওয়া আতুবু ইলায়হি।'
অর্থ : 'আমি ওই আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাই, যিনি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোনো মাবুদ নেই, তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী এবং তাঁর কাছেই (তাওবাহ করে) ফিরে আসি।'
নিয়ম : দিনের যে কোনো ইবাদত-বন্দেগি তথা ক্ষমা প্রার্থনার সময় এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করা। হাদিসে এসেছে- এভাবে তাওবাহ-ইসতেগফার করলে আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দেবেন, যদিও সে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়নকারী হয়।' (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত)
সাইয়েদুল ইসতেগফার পড়া
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ وَأَبُوءُ لَكَ بِذَنْبِي فَاغْفِرْ لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।'
অর্থ : 'হে আল্লাহ! তুমিই আমার প্রতিপালক। তুমি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তুমিই আমাকে সৃষ্টি করেছ। আমি তোমারই বান্দা আমি যথাসাধ্য তোমার সঙ্গে প্রতিজ্ঞা ও অঙ্গীকারের উপর আছি। আমি আমার সব কৃতকর্মের কুফল থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাই। তুমি আমার প্রতি তোমার যে নেয়ামত দিয়েছ তা স্বীকার করছি। আর আমার কৃত গোনাহের কথাও স্বীকার করছি। তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। কারন তুমি ছাড়া কেউ গোনাহ ক্ষমা করতে পারবে না।'
নিয়ম : সকালে ও সন্ধ্যায় এ ইসতেগফার করতে হবে। ফজর ও মাগরিবের নামাজের পর যেন ইসতেগফার পড়তে ভুল না হয়। কেননা হাদিসে এসেছে- যে ব্যক্তি ইসতেগফার সকালে পড়ে আর সন্ধ্যার আগে মারা যান কিংবা সন্ধ্যায় পড়ে সকাল হওয়ার আগে মারা যান, তবে সে জান্নাতে যাবে।' (বুখারি)
জান্নাত লাভ ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির দোয়া
> اَللَّهُمَّ اَدْخِلْنَا الْجَنَّةَ وَ اَجْرِنَا مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আদখিলনাল জান্নাতা ওয়া আঝিরনা মিনান নার।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদেরকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দাও।’
> اَللهُمَّ انَّ نَسْئَلُكَ الْجَنَّةَ وَ نَعُوْذُبِكَ مِنَ النَّارِ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাসআলুকাল জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা মিনান নার।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আশ্রয় চাই।’
বিশ্বনবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরো ঘোষণা করেন-
‘যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা তিন বার জান্নাতের আশা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করবে, জান্নাত-জাহান্নামও আল্লাহর কাছে ওই ব্যক্তির দোয়া কবুলে সুপারিশ করবে।
হে আল্লাহ! পুরো রমজান মাসজুড়ে উল্লেখিত বিশেষ চারটি আমল ও দোয়াগুলো যথাযথ পালনে আপনার তাওফিকের বিকল্প নেই। যে আমলগুলো করতে শাবান মাসের শেষ দিন বিশ্বনবি সাহাবায়ে কেরামকে নসিহত পেশ করেছেন।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে পুরো রমজান মাসজুড়ে রোজা পালন, ফরজ ও নফল নামাজ, জিকির-আজকারের পাশাপাশি বিশেষ ৪ আমল ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দোয়াগুলো যথাযথ আদায় করার তাওফিক দান করুন। রমজানের রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।
0 জন কমেন্ট করেছেন
Please read our Comment Policy before commenting.